জি-৭ আউটরিচ সম্মেলনে অংশ নিতে কানাডায় সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কানাডার স্থানীয় সময় রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় কেবেকের হোটেল শ্যাতো ফঁতেনেকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জি-৭ আউটরিচ সম্মেলনে অংশ নিতে যাওয়া শেখ হাসিনা এ হোটেলেই অবস্থান করছিলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর কেবেক থেকে টরন্টোর উদ্দেশে রওনা দেন।
শনিবার বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার জি-৭ আউটরিচ সম্মেলনে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে চার দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের ওপর সহিংসতার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন তিনি।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টিন লগার্দও ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও জি-২০ জোটের বর্তমান সভাপতি আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট; ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির চেয়ার হাইতির প্রেসিডেন্ট; জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী; কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট; মার্শাল আইল্যান্ডসের প্রেসিডেন্ট; নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী; আফ্রিকান ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ার রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট; সেনেগালের প্রেসিডেন্ট; সেসেলসের প্রেসিডেন্ট; দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট; ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী; অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) সেক্রেটারি জেনারেল; জাতিসংঘ মহাসচিব এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানায় কানাডা সরকার।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে জি-সেভেন আউটরিচ সম্মেলনে যোগ দিতে গত শুক্রবার দুপুরে কেবেকে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ওই দিন সন্ধ্যায় সম্মেলনে যোগ দিতে আসা নেতাদের সম্মানে কানাডার গভর্নর জেনারেলের দেয়া নৈশভোজে অংশ নেন তিনি।